gopal-bhar-stories

গোপাল ভাঁড় সেরা ৩০টি মজার গল্প | Top 30 funny stories of Gopal Bhar

গোপাল ভাঁড় – বাংলার অমর রসিক

গোপাল ভাঁড় বাংলা সাহিত্যের অন্যতম জনপ্রিয় লোকনায়ক। বুদ্ধি, রসিকতা, তীক্ষ্ণ জবাব আর সমাজের অন্যায়ের বিরুদ্ধে হাস্যরসাত্মক প্রতিবাদ—সব মিলিয়ে তিনি আজও বাঙালির হৃদয়ে অমর। নব্যবঙ্গের রাজসভা থেকে শুরু করে সাধারণ গ্রামবাংলার আড্ডা—সব জায়গায় গোপাল ভাঁড়ের গল্প ছড়িয়ে আছে। এই আর্টিকেলে আমরা পড়ব গোপাল ভাঁড়ের ৩০টি সেরা গল্প, যেগুলো শুধু হাসির খোরাকই নয়, বরং জীবনের গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা দেয়।


গল্প ১: গোপাল আর রাজা কৃষ্ণচন্দ্র

রাজা কৃষ্ণচন্দ্র গোপালকে জিজ্ঞাসা করলেন—“গোপাল, তুমি এত বুদ্ধি পাও কোথা থেকে?” গোপাল হেসে উত্তর দিল, “মহারাজ, আপনার ভুল সিদ্ধান্ত থেকে।” রাজার মুখ থমথমে হলেও সভার সবাই হো হো করে হেসে উঠল।

শিক্ষা: অন্যের ভুল থেকেও আমরা শিখতে পারি।


গল্প ২: গোপাল আর ভণ্ড ব্রাহ্মণ

এক ভণ্ড ব্রাহ্মণ বলল, সে ভবিষ্যৎ বলতে পারে। গোপাল বলল, “তাহলে বলুন, আমি এখন আপনার থালার ভাত খাব কি না?” ব্রাহ্মণ চুপ করে গেল। সবাই বুঝল তার ভণ্ডামি।

শিক্ষা: মিথ্যা কথা বেশিদিন টেকে না।


গল্প ৩: গোপাল আর চোর

রাতের বেলা চোর গোপালের ঘরে ঢুকে গেল। গোপাল ঘুম ভেঙে বলল, “কে?” চোর বলল, “আমি চোর।” গোপাল বলল, “তাহলে ভেতরে এসো, আমরা একসাথে খুঁজে দেখি কী নেওয়া যায়।” চোর লজ্জা পেয়ে পালাল।

শিক্ষা: বুদ্ধি দিয়ে খারাপকে হারানো যায়।


গল্প ৪: গোপাল আর দুধওয়ালা

দুধওয়ালা প্রতিদিন জলে মেশানো দুধ বিক্রি করত। গোপাল একদিন দুধ কিনে জিজ্ঞাসা করল, “এ দুধ না কি মাছ ধরা পুকুরের জল?” দুধওয়ালা লজ্জায় জলে ডুবে গেল।

শিক্ষা: অসততা ধরা পড়বেই।


গল্প ৫: গোপাল আর রাজকন্যার প্রশ্ন

রাজকন্যা জিজ্ঞাসা করল, “গোপাল, পৃথিবীর সবচেয়ে ভারী জিনিস কী?” গোপাল বলল, “মানুষের মিথ্যা কথা, যা কারও পক্ষে বইবার নয়।”

শিক্ষা: সত্যি সবসময়ই শক্তিশালী।


গল্প ৬: গোপাল আর আমগাছ

গোপাল চুপিচুপি রাজবাগানের আম খাচ্ছিল। রাজা এসে ধরল। গোপাল বলল, “মহারাজ, আমি তো গাছটাকে হালকা করছি।” রাজা হেসে ফেললেন।

শিক্ষা: মজার মাধ্যমে ভুল স্বীকার করাও এক প্রকার বুদ্ধি।


গল্প ৭: গোপাল আর কৃপণ

এক কৃপণ অতিথিকে খাওয়াতে চাইত না। গোপাল বলল, “তাহলে আপনার পেটেই নাকি অতিথির জন্য ভাত জমা আছে?” কৃপণ লজ্জা পেল।

শিক্ষা: কৃপণতা মানুষের মানহানি ঘটায়।


গল্প ৮: গোপাল আর ভিখারি

ভিখারি প্রতিদিন রাজদ্বারে ভিক্ষে চাইত। একদিন গোপাল তাকে বলল, “তুমি তো রাজ্যের কর সংগ্রাহকের চেয়েও নিয়মিত।” ভিখারি হাসতে হাসতে সরে গেল।

শিক্ষা: পরিশ্রমই প্রকৃত উপার্জনের পথ।


গল্প ৯: গোপাল আর ডাক্তার

এক ভণ্ড ডাক্তার ওষুধ না খাইয়েই টাকা চাইত। গোপাল বলল, “আপনার চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যু হলে টাকা ফেরত দেবেন তো?” ডাক্তার চুপ করে গেল।

শিক্ষা: চিকিৎসা সৎভাবে করা উচিত।


গল্প ১০: গোপাল আর কুমোর

কুমোর কাঁচা হাঁড়ি বিক্রি করত। গোপাল বলল, “ভাই, ভাঙা হাঁড়ির দাম কত?” কুমোর বলল, “ভাঙলে দাম নেই।” গোপাল বলল, “তাহলে কেন কাঁচা হাঁড়ির দাম নিচ্ছ?”

শিক্ষা: যুক্তি দিয়ে অন্যায় রোধ করা যায়।


গল্প ১১: গোপাল আর ভূতের ভয়

গ্রামে সবাই ভূতের ভয়ে রাতে বের হত না। গোপাল রাতে একা হাঁটতে হাঁটতে গান গাইত—“ভূত যদি আসে, আগে ভয় পাক।” গ্রামবাসী ভয় কাটাল।

শিক্ষা: ভয় অজ্ঞানতার ফল।


গল্প ১২: গোপাল আর জেলে

জেলে মাছ কম মেপে দিত। গোপাল বলল, “তুমি মাছ কম দিলে আমি পয়সা কম দেব, দুইয়ে মিলে ঠিক হবে।” জেলে ধরা পড়ল।

শিক্ষা: অসততা অবশেষে ধরা পড়ে।


গল্প ১৩: গোপাল আর ভণ্ড যোগী

ভণ্ড যোগী বলত, সে ক্ষুধা পায় না। গোপাল হঠাৎ গরম ভাত আর তরকারি সামনে রাখতেই যোগীর জিভে জল এলো। সবাই তার ভণ্ডামি বুঝল।

শিক্ষা: ভণ্ডামি টেকে না।


গল্প ১৪: গোপাল আর জুতো সেলাই

এক মোচি দাম বেশি নিত। গোপাল বলল, “তাহলে জুতো সোনার সুতো দিয়ে সেলাই করছ?” মোচি লজ্জা পেল।

শিক্ষা: অন্যায় মুনাফা টেকসই নয়।


গল্প ১৫: গোপাল আর পণ্ডিত

পণ্ডিত বলত, সে সব জানে। গোপাল জিজ্ঞাসা করল, “তাহলে বলুন, আপনার দাড়িতে কতটা লোম আছে?” পণ্ডিত চুপ করল।

শিক্ষা: কেউই সবজান্তা নয়।


গল্প ১৬: গোপাল আর জমিদার

জমিদার কৃষকের থেকে অতিরিক্ত খাজনা চাইত। গোপাল বলল, “আপনি তো আকাশকেও ট্যাক্স দেবেন।” জমিদার হেসে থেমে গেল।

শিক্ষা: লোভ নিয়ন্ত্রণ না করলে হাসির পাত্র হতে হয়।


গল্প ১৭: গোপাল আর নাপিত

নাপিত চুল কাটার জন্য বেশি টাকা চাইত। গোপাল বলল, “আমার মাথায় তো সোনা নেই।” নাপিত কম নিল।

শিক্ষা: যুক্তি দিয়ে দর কষাকষি করা যায়।


গল্প ১৮: গোপাল আর কাক

কাক ডাল থেকে ফল খাচ্ছিল। গোপাল চেঁচিয়ে বলল, “ও কাক, ফল খেও, কিন্তু দায় আমার নয়।” সবাই হেসে উঠল।

শিক্ষা: নিজের দায় অন্যের ওপর চাপানো ভুল।


গল্প ১৯: গোপাল আর ছাগল

এক লোক ছাগলকে মানুষ সাজিয়ে বিক্রি করছিল। গোপাল বলল, “ছাগল কথা বললে আমি কিনব।” লোক ধরা পড়ল।

শিক্ষা: প্রতারণা বেশি দিন লুকিয়ে রাখা যায় না।


গল্প ২০: গোপাল আর রাজসভা

রাজসভায় সবাই গম্ভীর মুখে বসে থাকত। গোপাল হঠাৎ জোরে হেসে উঠল। সবাই অবাক হলে সে বলল, “হাসি ছাড়া সভা মানায় না।”

শিক্ষা: হাসিই সুস্থ জীবনের মূল।


গল্প ২১: গোপাল আর জোতদার

এক জোতদার কৃষকের জমি কেড়ে নিতে চাইছিল। গোপাল বলল, “মাটি তো আমাদের মা, তাহলে আপনিও কি মাকে কেড়ে নেবেন?” জোতদার লজ্জা পেল।

শিক্ষা: জমি মানুষের জীবনের মূল সম্পদ।


গল্প ২২: গোপাল আর নৌকা

নৌকার মাঝি ভাড়া বাড়াতে চাইছিল। গোপাল বলল, “তাহলে কি নদীতে সোনার জল এসেছে?” মাঝি ভাড়া কমাল।

শিক্ষা: যুক্তি দিয়ে অন্যায় দাবিকে ঠেকানো যায়।


গল্প ২৩: গোপাল আর রাজার হাতি

রাজা হাতির খরচ বাড়াচ্ছিলেন। গোপাল বলল, “মহারাজ, হাতিকে সংসারের রেশন কার্ডও দিন।” রাজা হেসে উঠলেন।

শিক্ষা: অপচয় কখনও ভালো নয়।


গল্প ২৪: গোপাল আর ভাঙা সেতু

এক ভাঙা সেতুতে রাজকোষ খরচ হয়েছিল। গোপাল বলল, “সেতু ভাঙেনি, আপনার সততা ভেঙেছে।” রাজা বিষয়টি গুরুত্ব দিলেন।

শিক্ষা: দুর্নীতি সর্বনাশ ডেকে আনে।


গল্প ২৫: গোপাল আর লোভী ব্যবসায়ী

এক ব্যবসায়ী ওজনে কম দিত। গোপাল বলল, “আপনার দাঁড়িপাল্লাও আপনার মতো পাতলা।” ব্যবসায়ী লজ্জা পেল।

শিক্ষা: ব্যবসায় সততা সবচেয়ে বড় মূলধন।


গল্প ২৬: গোপাল আর সোনার বাটি

কেউ ভুয়া সোনার বাটি বিক্রি করছিল। গোপাল বলল, “এ বাটিতে খেলে তো ভাতও সোনা হবে।” প্রতারণা ধরা পড়ল।

শিক্ষা: অতিরিক্ত লোভ প্রতারণার জন্ম দেয়।


গল্প ২৭: গোপাল আর কৃষক

কৃষক কর দিতে পারছিল না। গোপাল রাজাকে বলল, “শস্য ফলাতে মাটি দরকার, কর নয়।” রাজা কৃষকের কর মাফ করলেন।

শিক্ষা: কৃষক সমাজের মেরুদণ্ড।


গল্প ২৮: গোপাল আর শেয়াল

শেয়াল রাজাকে ভুল পথে চালিত করছিল। গোপাল বলল, “শেয়াল তো ধূর্ত, তাকে রাজদরবারে মানায় না।” রাজা সাবধান হলেন।

শিক্ষা: খারাপ লোককে কাছ থেকে দূরে রাখা উচিত।


গল্প ২৯: গোপাল আর পুকুর

রাজকোষে পুকুর খননের খরচ বাড়ানো হয়েছিল। গোপাল বলল, “এ পুকুরে কি স্বর্ণমাছ চাষ হবে?” রাজা ব্যয় কমালেন।

শিক্ষা: অপচয় রোধ করা উচিত।


গল্প ৩০: গোপাল আর সোনার স্বপ্ন

রাজা স্বপ্ন দেখলেন সোনার পাহাড়। গোপাল বলল, “মহারাজ, স্বপ্নের সোনা খরচ করা যায় না।” রাজা বুঝলেন বাস্তবতাই আসল।

শিক্ষা: স্বপ্ন নয়, বাস্তব জীবনেই উন্নতি করতে হয়।


গল্প ৩১: রাজা ও গোপালের গোপন রহস্য

নদিয়ার মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র খুবই বিচক্ষণ এবং জ্ঞানী ছিলেন। কিন্তু একদিন তিনি হঠাৎ করে একটি অদ্ভুত রহস্য নিয়ে চিন্তায় পড়লেন। তাঁর মনে হচ্ছিল – “রাজপ্রাসাদে হয়তো কেউ আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। যদি আমি কাউকে না জানাই, তাহলে কিভাবে পরীক্ষা করব যে আমার অনুগত সভাসদরা আসলেই বিশ্বস্ত কি না?”

রাজা সিদ্ধান্ত নিলেন, তিনি একটি গোপন কথা প্রচার করবেন। তিনি রাজসভায় গিয়ে গম্ভীর গলায় বললেন,
“আমার শরীরে এক অদ্ভুত অসুখ হয়েছে, তবে এ কথা কাউকে জানানো চলবে না। যদি বাইরে গিয়ে কেউ এই খবর বলে দেয়, আমি তাকে কঠোর শাস্তি দেব।”

সবাই ভয়ে চুপ করে গেল। কিন্তু গোপাল ভিন্ন প্রকৃতির মানুষ। সে জানত, রাজা আসলে একটি চাল চালছেন। তিনি চান কারা বিশ্বস্ত আর কারা ফাঁস করে দেয় তা পরীক্ষা করতে।

পরদিনই গ্রামের বাজারে গোপাল উচ্চস্বরে বলতে লাগল—
“শুনুন শুনুন! আমাদের মহারাজা অসুস্থ! তবে রাজাকে না বলবেন, তিনি নাকি কারও কাছে এ খবর যেতে দিতে চান না!”

লোকেরা অবাক! খবর দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ল।

রাজা যখন শুনলেন যে খবর বাইরে চলে গেছে, তিনি সভা ডাকলেন। সবাই ভয়ে থরথর করছে। গোপালকে ডেকে জিজ্ঞাসা করলেন—
“গোপাল, আমি তো বলেছিলাম এই খবর কেউ বাইরে বলবে না, তুই কেন বললি?”

গোপাল ঠান্ডা মাথায় উত্তর দিল,
“মহারাজ, আমি ভেবেছিলাম – আপনি চান আপনার প্রজারা যেন আপনার অসুস্থতার খবর জানে, যাতে তারা আপনার সুস্থতার জন্য প্রার্থনা করতে পারে। তাই আমি ইচ্ছাকৃতভাবে প্রচার করে দিলাম। এর ফলে আপনার প্রতি জনগণের ভালোবাসা আরও প্রকাশ পেল।”

রাজা হেসে উঠলেন। আসলে তিনি বুঝলেন, গোপাল তাঁর বুদ্ধির জোরে সবাইকে চমকে দিয়েছে। সেই সঙ্গে রাজপ্রাসাদের গুপ্তচরও ধরা পড়ল— কারণ প্রথমে রাজসভা থেকে অন্য কেউ গোপন কথা বাইরে ফাঁস করেছিল।

শেষমেশ রাজা গোপালকে পুরস্কার দিলেন এবং বললেন—
“গোপাল, শুধু তুই-ই আমার গোপন রহস্যকে আনন্দের গল্পে পরিণত করতে পারিস!”


গল্প ৩২:গোপাল ও বোকা চোর

এক রাতে গ্রামের এক বোকা চোর গোপালের ঘরে ঢুকল। তার ইচ্ছে – গোপালের সব জিনিস চুরি করে নিয়ে যাবে।
কিন্তু গোপাল সব বুঝতে পেরে দরজার আড়ালে লুকিয়ে থাকল।

চোর ঘরে ঢুকেই গোপালের পুরোনো লণ্ঠন, ছেঁড়া কম্বল, ভাঙা হাঁড়ি এসব গুছিয়ে নিতে লাগল।
হঠাৎ গোপাল পিছন থেকে বলল—
“অরে ভাই, এতসব পুরোনো জিনিস কেন নিচ্ছিস? বাইরে উঠোনে একটা বড়ো থলিতে আমি সোনাদানা রেখেছি, সেটাই নিয়ে যা।”

চোর তো খুশিতে আটখানা! ছুটে বাইরে গেল। উঠোনে সত্যিই একটা বড়ো থলি রাখা।
চোর তাড়াহুড়ো করে সেটা কাঁধে তুলে নিয়ে পালাল।

কিন্তু কিছুদূর গিয়ে থলি ফেটে গেল—ভিতরে সোনাদানা নয়, কেবল বড় বড়ো পাথর!
চোর হতভম্ব হয়ে গেল। গ্রামের লোকেরা শোরগোল শুনে ছুটে এসে তাকে ধরে ফেলল।

সকালে রাজদরবারে এই খবর পৌঁছাল।
রাজা হেসে বললেন—
“গোপাল, তুই আবার মজার ফাঁদে এক বোকা চোরকে ধরেছিস!”

গোপাল মাথা নেড়ে বলল—
“মহারাজ, যার মাথায় বুদ্ধি নেই, সে চুরি করলেও বোকাই থাকবে।”

গোপাল ভাঁড় গল্পের শিক্ষামূলক দিক

গোপাল ভাঁড়ের প্রতিটি গল্প শুধু মজার নয়, বরং শিক্ষামূলক। অসততা, ভণ্ডামি, কৃপণতা, লোভ প্রভৃতি সামাজিক দোষের বিরুদ্ধে তাঁর রসিকতা আজও সমান প্রাসঙ্গিক। প্রতিটি গল্পে থাকে হাসি, তবে সেই হাসির আড়ালে লুকিয়ে থাকে জীবনের গভীর শিক্ষা।

উপসংহার

গোপাল ভাঁড় বাঙালি লোককাহিনীর চিরকালীন রসিক নায়ক। তার গল্পে যেমন হাসি আছে, তেমনি জীবনদর্শনও রয়েছে। ছোট-বড় সবার জন্যই এই গল্পগুলো উপভোগ্য এবং শিক্ষণীয়। ৩০টি গল্পের এই সংগ্রহে আমরা বুঝতে পারি, হাসিই জীবনের আসল সম্পদ।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *